বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল দিনের শুরুতে সিডিএসইটি সূচক ছিল ৮৯৯ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। একপর্যায়ে তা ৯০৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে উঠে গেলেও এরপর সূচকটি ছিল নিম্নমুখী। গতকাল দিনের লেনদেন শেষে সূচকটি দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। অর্থাৎ লেনদেনের প্রথম দিন সূচকটি পয়েন্ট হারিয়েছে ৪ দশমিক ৬১।
বৃহৎ বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলো নিয়ে সিডিএসইটি সূচকটি গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে সূচকটি উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম। গত ২৬ ডিসেম্বর সূচকটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। আর গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচকটি ডিএসইর ওয়েবসাইটের হোমপেজে চালু করা হয়েছে। নতুন সূচকটি তৈরি ও উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিমিটেড। সূচকটির ভিত্তি তারিখ ধরা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর ২০১৫। এর ভিত্তি ভ্যালু ১ হাজার পয়েন্ট।
ডিএসইর বৃহৎ মূলধনি ও সবচেয়ে বেশি লিকুইড স্টক রয়েছে, এমন ৪০টি কোম্পানিকে নিয়ে সূচকটি তৈরি করার সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর মৌলভিত্তি ও লিকুইডিটির পাশাপাশি মোট বাজার মূলধন বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক পারফরম্যান্স ইতিবাচক ও স্থিতিশীল, সেগুলোকে এ সূচকের জন্য যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া যোগ্য কোম্পানিগুলোর টার্নওভার লিকুইডিটির পর্যাপ্ততাকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব কোম্পানির ডিএসইতে তালিকাভুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের বেশি, সেগুলোই এ সূচকের জন্য বিবেচ্য হয়েছে। সিডিএসইটির ইনডেক্স মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফ্রি ফ্লোট ক্যাপিটালাইজেশনকে ভিত্তি ধরা হয়েছে।
ডিএসইর নতুন এ সূচকে ব্যাংক এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১টি করে কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া এ সূচকে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ছয়টি, প্রকৌশল খাতের তিনটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতের একটি কোম্পানি। আর খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, সিমেন্ট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিবিধ খাতের দুটি করে কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এ সূচকে।
সূচকটির শীর্ষ ১০টি কোম্পানি যথাক্রমে ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টেলিযোগাযোগ খাতের গ্রামীণফোন লিমিটেড, ব্যাংক খাতের ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ওষুধ ও রসায়ন খাতের রেনাটা লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ব্যাংক খাতের পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, সিমেন্ট খাতের লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ব্যাংক খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।
এছাড়া এ সূচকে রয়েছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ডেসকো, বিএসআরএম লিমিটেড, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, আইসিবি, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, বিএটিবিসি, আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো লিমিটেড, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইফাদ অটোস লিমিটেড।