আগামী ২৮ মের পর হতে এ প্রণোদনা ভাতা আর পাবেন না তারা। তবে ২৯ মে থেকে স্ব-শরীরে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালার আওতায় যাতায়াত ভাতা পাবেন।
রোববার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের ন্যায় ব্যংকিং কর্মকাণ্ড গতিশীল করার আবশ্যকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম ধীরে ধীরে প্রত্যাহারপূর্বক স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনর বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোকে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। তাই ২৮ মে এর পর হতে ব্যাংকারদের জন্য ব্যাংকে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রদান অব্যাহত রাখার আবশ্যকতা পরিলক্ষিত হয় না।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালে ব্যাংকে স্ব শরীরে গমণপূর্বক ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন তারা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রাপ্য হবেন। সাধারণ ছুটিকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে তা পূর্ণমাস হিসেবে গণ্য হবে।
তবে ১০ কার্যদিবসের কম স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে উক্ত ভাতা প্রাপ্য হবেন। এ বিশেষ ভাতার পরিমাণ মাসিক সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা হবে। ব্যাংকের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।