কানাডার হ্যালিফ্যাক্সের ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের কানাডিয়ান সেন্টার ফর ভ্যাক্সিনোলজিতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। ট্রুডো বলেছেন, গবেষণা এবং উদ্ভাবনে সময়ের দরকার হয়। এটি অবশ্যই সঠিকভাবে করা উচিত। তবে এটি আশাব্যঞ্জক খবর।
ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল সফল হলে কানাডার ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল এর উৎপাদনে কাজ করবে। যাতে ভ্যাকসিনটি দেশেই উৎপাদন করে বণ্টন করা যায় সে ব্যবস্থাও নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর ভ্যাক্সিনোলজির ৪৫ সদস্যের একটি দল চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকস কোম্পানির সঙ্গে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছে। হেলথ কানাডার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা এবং মানের ব্যাপারে পর্যালোচনা করে ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, এখন সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য অন্তত ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবী দরকার।
কানাডিয়ান সেন্টার ফর ভ্যাক্সিনোলজির পরিচালক ও ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ, মাইক্রোবায়োলজি এবং ইমিউনোলজির অধ্যাপক স্কট হ্যালপেরিন বলেন, চীনে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এর ভিত্তিতে কানাডায় ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এডি৫-এনকোভ নামের এই ভ্যাকসিনের স্ট্রেইনে অন্য একটি ভাইরাস ব্যবহার করা হয়েছে; যাতে এটি মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে না পারে। হ্যালপেরিন বলেন, এই অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তাহলে আশা করা যায়, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি কাজ করবে এবং মানুষকে রক্ষা করবে।
আাগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানান এই অধ্যাপক।
এখন পর্যন্ত কানাডায় প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৬৪ এবং মারা গেছেন ৫ হাজার ৬৭৯ জন।
সূত্র: সিবিসি।