এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৮২০ কোটি ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, নতুন করে তারা ইউক্রেনকে আরও ২৭ কোটি ডলারের বাড়তি সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে। এতে মধ্যম পাল্লার রকেট সিস্টেম এবং ট্যাক্টিক্যাল ড্রোন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নতুন এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজে চারটি এইচআইএমএআরএস লঞ্চার এবং ৫৮০টি ফিনিক্স ঘোস্ট ড্রোন থাকছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি। এছাড়া ৩৬ হাজার রাউন্ড কামান বা রকেটের গোলা এবং এইচআইএমএআরএস-এ ব্যবহারযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও থাকবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য সম্প্রতি চার হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করে। তবে রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা যেসব দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাবে সেগুলো রাশিয়ার সৈন্যদের জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে গণ্য হবে। মস্কো আরও জানিয়েছে, পশ্চিমা অস্ত্রের চালান হবে তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু।
এদিকে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি ফের চালু করতে চুক্তি করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) ইস্তাম্বুলে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সই হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত এই চুক্তি। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে শস্য সরবরাহে সাম্প্রতিক সংকট কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিন চুক্তি করলেও যুদ্ধরত দুই দেশের প্রতিনিধিরা কেউ কারও সামনাসামনি হননি। বরং পৃথকভাবে চুক্তিপত্রে সই করেছেন তারা। খুব সতর্কতার সঙ্গে এক টেবিলে বসা কিংবা হাত মেলানোর মতো সৌজন্যগুলো এড়িয়ে গেছেন রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।
ইউক্রেন বলেছে, তারা শস্য রপ্তানির বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি করেনি, করেছে জাতিসংঘের সঙ্গে। তারা আরও জানিয়েছে, চুক্তির অন্যতম শর্ত হলো, জাহাজগুলোতে যখন তল্লাশি চালানো হবে, সেটি যেন তুরস্কের জলসীমায় হয়।