করোনা নিয়ে তদন্তে সহায়তার ঘোষণা দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মরিসন সরকারের কাঁধে এত বিশাল শুল্কের বোঝা চাপালো দেশটি।
করোনা মহামারি সারা বিশ্বে কীভাবে ছড়িয়েছে তা নিয়ে গত মাসে প্রথম নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সোমবার জেনেভায় শুরু হওয়া ৭৩তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে এ দাবিতে সম্মতি জানায় আরও শতাধিক দেশ।
পরে অনেকটা বৈশ্বিক চাপের মুখেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, এ তদন্তে সমর্থন জানাচ্ছে তার দেশ। তবে বিশ্বজুড়ে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই এই উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই অস্ট্রেলিয়ান বার্লি আমদানিতে ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল চীন সরকার।
করোনার উৎস বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানানোর পর থেকেই উত্তপ্ত বেইজিং-ক্যানবেরা সম্পর্ক। এ নিয়ে চীন আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে অস্ট্রেলিয়ার ১৩৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
এ দ্বন্দ্বের জেরে গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে মাংস আমদানি বন্ধ করে দেয় তারা। এবার মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হচ্ছে চড়া শুল্কহারও। এটি অন্তত পাঁচ বছর কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।