সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
তিনি জানান, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে বৈশ্বিক জিডিপি সংকোচনের হার তিন শতাংশ পূর্বাভাস পুনর্বিবেচনা করছে আইএমএফ। সেক্ষেত্রে পূর্বাভাস সংশোধিত হলে ২০২১ সালে আংশিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের হার ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হওয়ার ধারণাও পরিবর্তিত হবে।
ক্রিস্টালিনা বলেন, ‘সারা বিশ্ব থেকে পাওয়া তথ্য পূর্বানুমানের চেয়েও বাজে পূর্বাভাস দিচ্ছে। ফলে অবশ্যই এই সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে আরও বেশি সময় লেগে যাবে।’ তবে এ বিষয়ে এর বেশি তথ্য দেননি তিনি।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে আইএমএফ প্রধান জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলা লকডাউন ও অথনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর থেকে সবচেয়ে বড় মন্দার মুখে ফেলেছে।
আগামী জুনে বৈশ্বিক অর্থনীতির নতুন পূর্বাভাস প্রকাশ করবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানিয়েছেন, আইএমএফ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সময়কালে ঋণের উচ্চমাত্রা, বর্ধিত ঘাটতি, বেকারত্ব, দেউলিয়াত্ব, দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং বৈষম্যের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছে।
তবে এবারের সংকট ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও জোরদার করছে, ই-লার্নিংয়ে উৎসাহিত করছে এবং ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজার ধরার সুযোগ করে দিচ্ছে বলেও জানান আইএমএফ প্রধান।
সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক শক্তিসহ সংস্থার সব সদস্য দেশকেই যোগাযোগ ও বাণিজ্য উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানান।