কাফরুল থানার পরিদর্শক অপারেশন জাহানুর জানান, শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। সহস্রাধিক শ্রমিক বেতন-ভাতার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে। ফলে এই সড়কটি পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে।
অতিরিক্ত উপ কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বিক্ষোভ করছে মূলত ওপেক্স অ্যাপারেলসের কর্মীরা। আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তারা কয়েকটি কারখানায় ঢিল ছুড়েছে বলেও খবর পেয়েছি আমরা।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা রাস্তার ওপর বাঁশ ফেলে চলাচলের পথ আটকে দেয়। রাস্তার পাশে কয়েকটি গাড়িও এ সময় ভাঙচুড়ের শিকার হয়।
পরিদর্শক জাহান বলেন, “আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, কারখানা মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে ।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমএর পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, “ওপেক্স অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছে বলে আমরা শুনেছি। আর কোনো কারখানার শ্রমিকরা সেখানে আছে কি না আমি এখনও জানি না।”
তিনি বলেন, “বেতন বোনাস নিয়ে অনেক জায়াগায় ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে।”
ওপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে রয়েছেন ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান সিনহা। মিরপুর ১৩ নম্বরে ওপেক্স গার্মেন্টস ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সাভারের আশুলিয়ায় এই গ্রুপের পোশাক কারখানা রয়েছে।
বিজিএমইএর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মালিক-শ্রমিক-সরকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মে মাসের বেতন দেওয়া হবে জুন মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসে। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়া-আসা ঠেকাতে ছুটি দেওয়া হবে মাত্র তিন দিন। আর বোনাসের ৫০ শতাংশ এখন দিয়ে বাকি ৫০ শতাংশ পরে ‘সক্ষমতা অনুসারে’ দেবেন কারখানা মালিকরা। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা কারখানায় অনুপস্থিত, তাদেরও এপ্রিল মাসের বেতনের ৬০ শতাংশ দেওয়া হবে। আমার জানামতে, বেশিরভাগ কারখানা এপ্রিল মাসের বেতন দিয়েছে। এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে মে মাসের বেতন ও বোনাস নিয়ে। অনেক কারখানায় বোনাসের ৫০ শতাংশ দিচ্ছে, আবার অনেকে শতভাগ বোনাস দিয়ে দিচ্ছে।