সদস্যদেশগুলোও বিশ্বে ডব্লিউএইচও’র নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকাকে সমর্থন করেছে। এ সমর্থন এবং সংহতি প্রকাশের জন্য ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির বার্ষিক বৈঠকে মঙ্গলবার তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আধানম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধানের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে সোমবার সংস্থাটিতে মার্কিন তহবিল স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
চিঠিতে সংস্থাটিকে ‘বাস্তব উন্নতি’ সাধন করার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প, না হলে লাখ লাখ ডলারের তহবিল ও যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ, উভয়ই হারানোর ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।
এরপরই ডব্লিউএইচও’র ভূমিকায় অটল থাকার ওই অঙ্গীকার করলেন তেদ্রোস আধানম। যদিও বক্তব্যে ট্রাম্পের ওই হুঁশিয়ারির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
সংস্থার পক্ষ সমর্থনে ১৯৪ টি সদস্যদেশের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে আধানম বলেন, “আমরা যে কারো চেয়ে অনেক বেশি জবাবদিহিতা চাই। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সমন্বয় করে কাজ করার জন্য আমরা নেতৃত্ব দিয়ে যাব।”
ওদিকে, সদস্যদেশগুলোও বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডব্লিউএইচও’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সমর্থন দিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এ সংস্থাটির নেতৃত্বে বৈশ্বিক তৎপরতার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার প্রস্তাবনায় সায় দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান আধানম বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করবেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য আরোকিছু দেশ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এবং এটি মোকাবেলার পদক্ষেপ খতিয়ে দেখার ওই প্রস্তাব দেয়। চীন সোমবার তাতে সমর্থন দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও’কে নিয়ে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনারও কড়া জবাব মঙ্গলবার দিয়েছে চীন। করোনাভাইরাস সংকট ঠিকমত সামলাতে না পেরে ট্রাম্প এখন সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে চাইছেন বলে চীন অভিযোগ করেছে।
ওদিকে, ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) ট্রাম্পের অবিরাম সমালোচনার মুখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য সব দেশকে আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বলেছেন, “এখন সংহতির সময়। কারো দিকে আঙুল তোলা কিংবা বিভিন্ন দেশের মধ্যকার পারস্পরিক সহযোগিতা ক্ষুন্ন করার সময় এটি নয়।”