এটি আরও উত্তরদিকে সরতে থাকবে। এরপর পাবনা, গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছে। এটি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তর দিকে গিয়ে তার শক্তি হারাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অফিস জানায়, এখন রাজশাহী অঞ্চলের দিকে আছে আম্পান। ঘূর্ণিঝড়টির গতি এখন অনেক কমে গেছে। যত উত্তর দিকে যাবে, শক্তি আরও কমে যাবে। তবে আজ সারাদিনই আবহাওয়া বৈরী থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাতে আম্পান ঝিনাইদহ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছিল। আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরে এটি আরও উত্তরদিকে সরে এখন রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলের দিকে আছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর এখন উত্তাল। এ কারণে এখনও মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জন্য সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, আম্পানের মূল অংশ অর্থাৎ কেন্দ্র ভারতের মধ্য দিয়েই যাওয়ার কারণেই প্রথম দিকের ঝড়ের যে তীব্র গতি সেই ধাক্কা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যায়নি।। কিন্তু এর ব্যাস বড় হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের একেবারে কাছাকাছি খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রথমে ঝড়ের তীব্রতা দেখা যায়। একইসঙ্গে প্রায় সারা দেশের ওপর দিকে দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর রাত যত বাড়তে থাকে, আম্পান উপকূল থেকে তত ওপরে স্থলভাগের দিকে উঠতে থাকে।
সারা রাত বৃষ্টির পর সকালের দিকে রাজশাহীর দিকে গিয়ে আম্পানের নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার কথা বলা হলেও এখনও এটি ঘূর্ণিঝড়ই আছে। তবে শিগগিরই এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।