অন্যদিকে, অন্য উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ের তীব্রতা খুব বেশি না হলেও বুধবার রাত পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে পটুয়াখালীতে ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে ও মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে নৌকাডুবিতে দুজন মারা গেছেন। ভোলায় গাছচাপা পড়ে ও ট্রলারডুবে দুই জন মারা গেছেন। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন আরেক ব্যক্তি। আর সাতক্ষীরার কামালনগর এলাকায় আম কুড়াতে গিয়ে গাছ চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাগরের নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে বুধবার সন্ধ্যায় ৫ থেকে ৭ ফুট জোয়ার হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হয়েছে প্রায় সারারাতই।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে সদরের কামালনগর এলাকার করিমুন্নেসা নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের উপকূলীয় অঞ্চল, আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাঁচাঘর বাড়ি মৎস্যঘের ও ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। আশাশুনির ৬টি পয়েন্ট ও শ্যামনগরের একটি পয়েন্টে বেঁড়িবাধ ভেঙে বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গাবুরা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আম্পানে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো গাবুরা ইউনিয়ন। আমার বাড়ির অধিকাংশ গাছ পড়ে গেছে। এই ঝড়ে আমাদের কংক্রিটের প্রাচীর পর্যন্ত পড়ে গেছে। সেই বিকাল থেকে ঝড় শুরু হয়েছে একটানা গভীর রাত পর্যন্ত চলছে।
শ্যামনগরের গাজী আল ইমরান নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বুড়িগোয়ালীনির ইউনিয়নের দাতানিখালি এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নদীতে জোয়ার বৃদ্ধির কারণে প্রতাপনগরের কুড়ি কাউনিয়া, সুভদ্রা কাটি, চাকলা, হাজরাখালি পয়েন্টে বেঁড়ি বাধ লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।