শুক্রবার (২২ মে) আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ব্যাংকনোট ও মুদ্রা কোয়ারেন্টিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৯ জনের। ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের উদযাপনও সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। রমজান মাস জুড়ে দেশটিতে জারি করা হয় কঠোর লকডাউন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, মুদ্রার নোট কিংবা ইলেকট্রনিক পেমেন্ট টুলের মাধ্যমেও করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। সে কারণে ব্যাংকনোট ও কয়েন সংগ্রহের পর তা নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টিন করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশটির মুদ্রা কর্তৃপক্ষ এসএএমএ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকনোট ও কয়েন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগুলো বিশেষ ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নেওয়া হবে। এরপর এগুলো সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করে ফেলা হবে। নোংরা এবং ব্যবহার অযোগ্য নোটগুলো সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট করে ফেলা হবে।’
পরে বিশেষ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাওয়া নোটগুলো সংস্থার গুদামে মজুদ রাখা হবে এবং ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে। ব্যাংকগুলো আরো দীর্ঘমেয়াদে এগুলো মজুদ রাখতে পারবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
সৌদি অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক বিশ্লেষক তালাত জাকি মনে করেন, এসব সতর্কমূলক ব্যবস্থার কারণে স্থানীয় বাজারে অর্থ তারল্যের কোনো সংকট হবে না। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মুদ্রা কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট হিসাব করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকনোট কোয়ারেন্টিনে রাখার এই সিদ্ধান্ত কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই ধরণের স্বাস্থ্য সংকটের সময় প্রায়ই আইসোলেশন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।'
সূত্র- আরব নিউজ।