গতকাল রবিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শাওয়ালের সরু–বাঁকা চাঁদ দেখা গেছে।
রমজানের দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম-সাধনার পর হাজির হয় ঈদুল ফিতর। কিন্তু মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর উৎসব আর আনন্দের ঈদ আসছে ভিন্ন চেহারা নিয়ে।
ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় জামায়াত না করে বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তারা বলেন, এবার উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে হবে।
ঈদের প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম মসজিদে।
এবারের ঈদে প্রধান জামাত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। এছাড়া অন্যান্য মসজিদেও ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনে মসজিদগুলোতে হবে একাধিক জামাত। এরই মধ্যে দেশের সব মসজিদে পৌঁছে গেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা।
প্রতি বছর ঈদের জামায়েত খোলা ময়দানে হলেও এবারই প্রথম করোনায় বদলে গেছে চিত্র। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মেনে ঈদের জামাত হবে মসজিদগুলোতে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১০ দফা নিদের্শনা মেনে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঈদের জামাতের। সব মসজিদে করা হবে একাধিক ঈদের জামাত। মসজিদে ঢুকতে থাকছে জীবানুনাশক ব্যবস্থা।
পুলিশের পক্ষ থেকেও ঈদের জামাত আদায়ে থাকছে ১৪ দফা নির্দেশনা। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসল্লিরাও।
সারা দেশের সব মসজিদকে নিয়ম মানার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। নিয়মের ব্যত্যয় গঠলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি তাদের।
একজন কর্মকর্তা জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেকটা জেলা প্রশাসনে চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুসারেই নামাজ হবে।