সোমবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির মহামারি থেকে মুক্তিসহ কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত হয়।
সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে চতুর্থ জামাত শেষে পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম মোনাজাতে বলেন, পুরো বিশ্ব আজ অবরুদ্ধ হয়ে আছে। হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। হে আল্লাহ এই মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের সবাইকে শাহদাতের মর্যাদা দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করার পাশাপাশি দেশসহ পুরো বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের রোগ মুক্তি কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
এদিকে মসজিদে নামাজে নানা বিধিনিষেধ থাকলেও বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হয়েছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সারিবদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। তবে আগের মতো কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি কাউকে।
এবার করোনা ভাইরাসের কারণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ হয়নি। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়। ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। ৮টায় দ্বিতীয় জামাতের ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় হয়। এই জামাতের ইমামতি করেন পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। ঈদের দিন সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান।
এদিকে করোনা কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ পড়তে হয়েছে সবাইকে। সবাই বাসা থেকে ওজু করে মাস্ক পরে মসজিদে গেছেন। এছাড়া নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলাতে দেখা যায়নি কাউকে।