‘ডাব্লিউএইচও ফাউন্ডেশন’ নামে সংস্থাটি সরাসরি জনহিতৈষী ও গণমানুষের অনুদানের অর্থে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। করোনা ভাইরাসের মতো এই ধরণের সংকটকে অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে সংস্থাটি মোকাবেলায় কাজ করবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ডাব্লিউএইচও’-এর প্রতি মহামারি নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির অর্থায়ন স্থগিত করে এবং কাঙ্খিত পরিবর্তন দেখাতে না পারলে আগামী মাসে সংস্থা থেকে সরে আসার হঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, বেইজিং-এর সাথে অতিরিক্ত সখ্যতা থাকায় প্রাথমিকভাবে চীন থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়লে বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা সে বিষয়টিকে চেপে রেখেছিল।
‘ডাব্লিউএইচও’র মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসাস জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নতুন ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
এ সময় টেড্রোস বিশ^কে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, পরবর্তী নতুন মহামারির আবির্ভাব হলে বিশ^ একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কেবল রোগ সারিয়ে তোলা হওয়া উচিৎ নয়, বরং রোগটি যাতে হতেই না পারে সেজন্য প্রতিরোধ ব্যস্থার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
টেড্রোস বলেন, কোভিড-১৯ সংকট রাষ্ট্রসমূহের প্রস্তুতি যে ফাঁক রয়েছে তা দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, এখনো সেসব দেশ এই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করছে না।
তিনি বলেন, ‘এগিয়ে চলুন, আমি মনে করি, বিশ্ব এ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছে।’
এএফপি’র সমন্বিত তালিকা অনুযায়ি, গত বছর ডিসেম্বরে চীনে প্রথম উৎপত্তি হওয়া নোভেল করনা ভাইরাসে বিশে^ এ পর্যন্ত মোট ৫৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
টেড্রোস বলেন, বিশ্বকে ‘বিদ্যমান মহামারি নির্মূলের জন্যে রাষ্ট্রসমূহের আরো ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। তবে, পরবর্তী মহামারী সম্পর্কেও প্রস্তুতি থাকতে হবে। তা আসতেই পারে কারণ এখনো আমরা ক্ষতিগ্রস্থ।’