বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে লিবিয়াতে আসার কোনো উপায় নাই। নতুন লোক তো দূরের কথা, পুরাতন যারা দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়াতে আছে, তারাই ছুটিতে গেলে ফিরে আসার সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেতে ঝামেলা হয়।
কাজেই যারা আসে, তারা অবৈধভাবেই আসে। এই অবৈধভাবে মানব পাচারের সাথে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র জড়িত। এদের সদস্যরা আছে বাংলাদেশে, দুবাইয়ে এবং বেনগাজিতে।
বাংলাদেশ থেকে এরা প্রথমে দুবাইতে যায় ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে, সেখানে কয়েকদিন থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ বা মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করে, এরপর সেখান থেকে বেনগাজির বেনিনা এয়ারপোর্ট দিয়ে লিবিয়াতে প্রবেশ করে।
গত বছর জুলাই মাসে আমি যখন ত্রিপোলি থেকে বেনিনা এয়ারপোর্ট দিয়ে বেনগাজিতে নেমেছিলাম, তখন সেখানে এক বাংলাদেশী লাগেজ হ্যান্ডলারের সাথে কথা হয়েছিল। তার দাবি অনুযায়ী সে সময় প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ করে বাংলাদেশী অবৈধভাবে লিবিয়াতে প্রবেশ করত।
এই পাচারকারী চক্রের মূল হোতারা মূলত বাংলাদেশীরাই। তবে যেহেতু বেনিনা এয়ারপোর্ট দিয়ে এরা বিনা বাধায় এরা প্রবেশ করতে পারে, তাই এদিকের কর্তৃপক্ষও যে এতে জড়িত আছে, এটা সহজেই অনুমান করা যায়। আর ডেইলি স্টারের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যে এরা বিনা বাধায় দুবাইর নাম করে সহজেই বেরিয়ে পড়তে পারে, তার পেছনে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত আছে।
এই লোকগুলোর সবাই অবশ্য ইতালিতে যাওয়ার জন্য আসে না। একটা অংশ লিবিয়াতে কাজ করার জন্যও আসে। কারণ লিবিয়াতে আসার খরচ তুলনামূলকভাবে কম - প্রায় চার লাখ টাকা। কিন্তু একটা বড় অংশই আসে ইতালিতে যাওয়ার জন্য। যদিও এই কথাটা অনেকেই প্রচার করেছে, আমিও প্রথম-আলো এবং বণিক বার্তায় লিখেছি, আগের মতো এখন আর চাইলেই ইতালিতে যাওয়া যায় না।
২০১৪-২০১৫ সালে সালে অপারেশন সোফিয়ার আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রেস্কিউ মিশন ভূমধ্যসাগরে সার্বক্ষণিক অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রম চালাত। সে সময় যেকোনো নৌকা লিবিয়ার সমুদ্রসীমা পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় পৌঁছলেই সেটাকে ইউরোপিযানরা উদ্ধার করে ইতালিতে নিয়ে যেত।
কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। ইতালিতে ডানপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা অভিবাসনবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছে। তারা জিএনএর সাথে চুক্তি অনুযায়ী ত্রিপোলির কোস্টগার্ড এবং মিলিশিয়াদেরকে ফান্ডিং করতে শুরু করেছে।
ফলে এখন কোনো নৌকা মাঝ সমুদ্রে ডুবতে বসলেও ইতালিয়ানরা সেটাকে উদ্ধার করে না। বরং তারা লিবিয়ান কোস্টগার্ডকে খবর দেয়। তাদের মর্জি হলে তারা গিয়ে সেটাকে উদ্ধার করে, যাত্রীদের সবাইকে আটক করে নিয়ে আসে। এরপর তাদের স্থান হয় ত্রিপোলির কুখ্যাত ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে, যেখানকার অমানবিক পরিবেশের বিবরণ পড়লেও শিউরে উঠতে হয়।
লিবিয়ার "প্রবাসী কল্যাণ ফোরাম" পেজ জাতিসংঘের ডাটা থেকে হিসেব করে দেখিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইতালিতে যেতে ইচ্ছুক প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই কোস্টগার্ডের হাতে আটক হচ্ছে, ১ জন পানিতে ডুবে মরছে, আর মাত্র ৩ জন ইতালিতে পৌঁছতে পারছে।
কিন্তু এটাতো হচ্ছে যারা ত্রিপোলির কোনো কোস্ট থেকে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে পেরেছে, তাদের হিসাব। এমন অনেকেই আছে, যারা ত্রিপোলি পর্যন্তই পৌঁছতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে বেনগাজিতে এসে পৌঁছার পর এরা যখন ইতালিতে যাওয়ার জন্য ত্রিপোলির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, তখন অনেকেই যাত্রাপথে মিলিশিয়াদের চেকপয়েন্টে অথবা প্রফেশনাল কিডন্যাপারদের হাতে আটক হয়।
এরপর শুরু হয় নির্যাতন। অবর্ণনীয় নির্যাতন করে, সেই ভিডিও দেশে ইমোতে পাঠিয়ে আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেখিয়ে দেশ থেকে মুক্তিপণ আনিয়ে এরপর তাদেরকে ছাড়া হয়। ভাগ্য "ভালো" হলে এরপরেও কেউ ত্রিপোলিতে পৌঁছতে পারে, বাকিদেরকে আবার বেনগাজিতেই ফিরে আসতে হয়।
দেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য অনেকেই সাত-আট, এমনকি দশ লাখ টাকার চুক্তি করে আসে। কিন্তু বার বার অপহরণ হতে হতে শেষপর্যন্ত অনেকের ক্ষেত্রে সেই টাকার পরিমাণ ২০ লাখও ছাড়িয়ে যায়।
মিজদাতে যেই গ্রুপটা আটক হয়েছিল, সেটা এরকমই দুইটা বা তিনটা গ্রুপ ছিল। মোট ৩৮ জন বাংলাদেশী সেখানে আটক ছিল। বেনগাজি থেকে এরা ত্রিপোলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
দূতাবাসের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী পত্রিকাগুলো জানাচ্ছে, এরা ত্রিপোলিতে যাচ্ছিল কাজের খোঁজে। কিন্তু এই করোনাকালীন লকডাউনের সময়, এবং ত্রিপোলিতে ভয়াবহ যুদ্ধের সময় এদের কাজ খুঁজতে যাওয়ার অজুহাতটা বিশ্বাসযোগ্য না। এরা ইতালিতে যাওয়ার জন্যই যাত্রা করেছিল, হয়তো এখন স্বীকার করতে চাইছে না।
বেনগাজি থেকে আগে ত্রিপোলিতে যাওয়ার শর্টকাট পথ ছিল। মোটামুটি ১,০৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েই ত্রিপোলিতে পৌঁছা যেত। কিন্তু যুদ্ধের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘুরপথে এখন ত্রিপোলি পৌঁছতে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ১,৮০০ কিলোমিটার। এবং কোস্টাল হাইওয়ে ছেড়ে তাদেরকে যেতে হয় সাউথের রেগুলোর হিউম্যান ট্রাফিকিং রুট দিয়ে, যেই রুট আগে থেকেই কুখ্যাত।
এই ঘুরপথের রুট দিয়ে যাওয়ার সময়ই এই ৩৮ জন বাংলাদেশী কিডন্যাপারদের হাতে আটক হয়। তাদেরকে নিয়ে আটক রাখা হয় ত্রিপোলি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মিজদা নামের ছোট একটা পাহাড়ি শহরের একটা আটককেন্দ্রে। সেখানে তাদের সাথে প্রায় একশোর মতো আফ্রিকানও বন্দী ছিল।
মুক্তিপণের জন্য তাদের উপর সেখানে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। কিছু কিছু ছবিতে তাদের পিঠে যেরকম দাগ দেখা গেছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। ভিন্ন ভিন্ন ভাষ্য অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে ৭,০০০ থেকে ১১,০০০ ডলার মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছিল।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে বন্দীরা কিডন্যাপারদের একজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার অস্ত্র দিয়েই তাকে হত্যা করে। লিবিয়ান সোশ্যাল মিডিয়ার এবং উদ্ধার পাওয়া বাংলাদেশীদের দাবি অনুযায়ী ঐ কিডন্যাপার মারা গিয়েছিল আফ্রিকানদের গুলিতে।
কিন্তু তার আত্মীয়-স্বজন কিংবা তার কিডন্যাপিং গ্যাংয়ের সদস্যদের কোনো কারণে ধারণা হয়, বাংলাদেশীরাই তাকে হত্যা করেছে। ফলে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফিরে আসে এবং নির্বিচারে বাংলাদেশীদের উপর গুলি চালায়। ৩৮ জনের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশীই নিহত হয়। যারা বেঁচে যায়, তাদের অনেকেও গুলিবিদ্ধ হয়। এবং তাদের অনেকে নিহতদের লাশের নিচে চাপা পড়ার কারণেই বেঁচে যায়।
হত্যাকারীরা ফিরে গেলে এলাকাবাসী এবং কিছু পুলিশ বা মিলিশিয়া ঘটনাস্থলে আসে। তারা লাশগুলোকে এবং আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হত্যাকারীরা যখন জানতে পারে বাংলাদেশীরা সবাই মরেনি, তখন তারা হাসপাতালেও তাদের উপর আক্রমণের চেষ্টা করে। পরে তাদেরকে প্রথমে পার্শ্ববর্তী জিনতানের হাসপাতালে এবং তারপর ত্রিপোলিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৩০ জন মারা গেছে। ২৬ জন বাংলাদেশী, ৪ জন আফ্রিকান। আহত হয়েছে অনেকে। আহতদের মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে ১১ জন ত্রিপোলিতে, আরেকজন ঘটনাস্থলেই পালিয়ে এক লিবিয়ানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আহতরা ত্রিপোলির হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
দূতাবাসের অফিসাররা গতকালই তাদেরকে দেখে এসেছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। একজনের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল, তার অপারেশন হওয়ার কথা আছে। বাকিরা মোটামুটি সুস্থ আছে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই ত্রিপোলির জিএনএ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং দোষীদেরকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মিজদা এলাকাটা জিএনএর নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অবশ্য ওটা পূর্বাঞ্চলীয় সরকারেরও প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে নেই।
ছোট এবং কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সাধারণত যেটা হয়, সেগুলোতে কোনো সরকারেরই প্রত্যক্ষ শাসন থাকে না। স্থানীয় মিলিশিয়ারাই সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এক্ষেত্রেও সম্ভবত সেটাই ঘটেছে। তবে এই দায়ী মিলিশিয়া এবং তাদের গোত্র খুব সম্ভব পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের "সেনাবাহিনী"র প্রতি অনুগত কিংবা তাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিল।
অতীতে লিবিয়াতে এ জাতীয় কোনো হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হয়নি। এবারও হবে বলে আশা করা কঠিন। বিশেষ করে শহরটা যেহেতু জিএনএর নিয়ন্ত্রণে নাই, তাই এই আশা আরো দূরাশা। যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি থেকে ধারণা করা যায়, আগামী সপ্তাহগুলোতে শহরটা জিএনএর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু তখনও ট্রাইবাল প্রভাবের কারণে তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে কিনা, বা নেওয়ার চেষ্টা করবে কিনা, সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং কিছু অনলাইন নিউজপেপারে কিছু ভুয়া নিউজ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে কিছু বাংলাদেশী দালালের নাম এবং ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, এমনকি তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, গোলাগুলিতে অংশ নিয়েছে - ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাস্তবে এরকম কিছু ঘটেছে বলা জানা যায়নি। ছবির ঐ লোকগুলো দালাল ঠিকই আছে, কিন্তু এই ঘটনার সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে বলে জানা যায়নি। এবং ঘটনাস্থলে দালালদের সশরীরে উপস্থিত থাকাটাও অযৌক্তিক।
সম্ভবত প্রতিপক্ষের দালালরা তাদের নামে ভুয়া সংবাদ রটিয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে নির্মূল করার লক্ষ্যে। অথবা বিভিন্ন নিউজের নিচে যখন প্রবাসীরা এসব দালালের নাম এবং ছবি পোস্ট করে তাদের অতীতের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরছিল, তখন কোনো এক অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক বুঝতে না পেরে অথবা নিজের কল্পনাশক্তিকে ব্যবহার করে এই কাহিনী রচনা করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনায় অনেককেই বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে - সরকার কী করছে, এতগুলো লোক মরার পরেও সরকার কেন কোনো প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কয়েকজন এমনকি এক কোরিয়ান নাগরিক লিবিয়াতে কিডন্যাপ হওয়ার পরে কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর হুমকির কথাও উল্লেখ করছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এরকম কিছু করার ক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের নাই এবং থাকলেও সেটা করা উচিত হবে না। তাতে অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশীরাই বিপদে পড়বে। দেশে দুইটা সরকার, ঘটনা ঘটেছে নমিনালি এক সরকারের এলাকায়, বাংলাদেশ দূতাবাস আছে অন্য সরকারের এলাকায়, বিচার চাইতে হবে তাদের কাছে - ব্যাপারগুলো সেন্সিটিভ।
বাংলাদেশ সরকার যেটা করতে পারে, এবং যেটা অবশ্যই করা উচিত, সেটা হচ্ছে এই দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, অবৈধভাবে লোক আসার পথটা বন্ধ করা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে লিবিয়াতে এসে যে লাভ নাই, ইতালিতেও যে পৌঁছা যায় না, সেটা জোরেসোরে প্রচার করা।
শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে না, পত্রপত্রিকায়, টিভিতে, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই যাত্রাপথের ভয়াবহ দিকগুলো তুলে ধরা, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যারা স্বজন হারিয়েছে, তাদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা।
এবং আপনারা যারা এই স্ট্যাটাস পড়ছেন - আপনাদের সবারও কর্তব্য হবে, আশেপাশের কেউ যদি লিবিয়ায় আসতে চায়, তাকে নিবৃত্ত করা। আমরা পুরাতন লোক, দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় আছি, আমাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু নতুন যারা লিবিয়াতে আসছে, তাদের জন্য লিবিয়া এখন মৃত্যুফাঁদ।
মোজাম্মেল হোসাইন তোহা
প্রকৌশলী, এএনসিএল
ত্রিপোলী, লিবিয়া