শুক্রবার বিকালে বানানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে (বিআরটিএ) পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে একথা বলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠকের শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আসন খালি রেখে বাস চালানোর কথা বলা হলেও পরে অর্ধেক (৫০ শতাংশ) আসন খালি রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১ জুন থেকে নগর পরিবহন ও দূরপাল্লার বাসে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখা হবে। যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে বাসে চড়তে হবে। পরিবহন মালিকরা চালক ও সহকারীদের মাস্ক দেবেন। বাস ছাড়ার আগে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আর এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে বিআরটিএ, পুলিশ ও মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। এ জন্য রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনালে তিনটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে বাসে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখলে পরিবহন মালিকদের লোকসানের কথা বলে ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলে মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। তবে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। শনিবার বিআরটিএর স্থায়ী ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি বৈঠকে বসে ভাড়ার বিষয়ে আলোচনা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।