শনিবার (৩০ মে) বেলা আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং তিন জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাত জন, রংপুর বিভাগের দুই জন এবং সিলেট বিভাগের একজন রয়েছেন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চার জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ জন এবং বাসায় মরা গেছেন দুই জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক দুই শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪৬৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন পাঁচ হাজার ৫২৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮০ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯০ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ২২০ জনকে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৮২ হাজার ২২৫ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ২১৯ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৯৪৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬০ হাজার ২৭৬ জন।