করনো মহামারী পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির অন্যান্য খাতের ন্যায় শেয়ারবাজারেও মন্দাবস্থা। যা কাটিয়ে তুলতে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রীর কাছে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি করেছেন। যা অনেকটা বাস্তবায়নের পথে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএমবিএ) এর সভাপতি ছায়েদুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, করোনায় সৃষ্ট মহামারির মধ্যে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হলে, শেয়ারবাজার গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীসহ সবাই উপকৃত হবে।
শেয়ারবাজারের বিদ্যমান মন্দাবস্থা কাটিয়ে তুলতে গত ২৮ এপ্রিল ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) পক্ষ থেকে কালোটাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়, শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। যে অর্থ ১:১ ভিত্তিতে বন্ড মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করার শর্তে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ৩ বছরের জন্য ব্লক থাকবে। যে বন্ড এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেনযোগ্য হতে হবে।
এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুজিঁবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকেও কালোটাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। আগামী ৫ বছরের জন্য শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ চায় সংগঠনটি। প্রস্তাবনায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার নিঃশর্ত সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আপাতত কালোটাকা সাদা করার দুটি উপায় চিন্তা করা হচ্ছে। এরমধ্যে ঢালাওভাবে বিনা প্রশ্নে সাদা করার সুযোগ দেওয়া। এক্ষেত্রে ৫-১০ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা ঘোষণায় আনলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। আরেকটি হল, বিদ্যমান কালোটাকা সাদা করার সুবিধা সম্প্রসারণ করা। বর্তমানে এলাকাভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে কালোটাকায় ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ আছে। রাজধানী, চট্টগ্রাম, জেলা শহর, পৌর এলাকাভেদে কালোটাকায় ফ্ল্যাট কিনে বর্গমিটারপ্রতি ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর দিলে কোনো প্রশ্ন করছে না এনবিআর। আগামী অর্থবছরে করের পরিমাণ কমিয়ে জমি কেনায়ও কালোটাকা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।