আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় শহরভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি ও আর্থিক পরিষেবার মতো খাত। কিন্তু সেই সব জায়গায় বিশেষভাবে হাতে গোনা কিছু দক্ষ কর্মীর চাকরি হয়। বিপুলসংখ্যক অদক্ষ বা কম দক্ষ মানুষের কাজ নেই। একাংশ শহরের বাইরে রোজগারের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। একাংশ অস্থায়ী কর্মী। বছরের সব সময় কাজ থাকে না। তার ওপর সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাসনশিল্প শ্লথ হয়ে পড়েছে।
মহেশ দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দ্রুত হারে বৃদ্ধির জন্য যে বিনিয়োগ প্রয়োজন, তা হচ্ছে না। কর্মসংস্থানবিহীন আর্থিক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অর্থনীতির অধ্যাপক মহানন্দা কাঞ্জিলালের বক্তব্য, গ্রামের বেকারত্ব কিছুটা মৌসুমি। কৃষিকাজ থাকলে কমে, না থাকলে বৃদ্ধি পায়। স্বল্প মেয়াদে ১০০ দিনের কাজ হয়। কিন্তু শহরে বেকারত্বের কারণ শিল্পের খরা। ফলে বেশির ভাগ কর্মক্ষম মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ খোঁজেন, যা কোভিডের ক্ষত সারিয়ে এখনো চাঙা হতে পারেনি। চাহিদার ঘাটতি, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির মতো কারণে উৎপাদন কমছে। ফলে কর্মসংস্থান বাড়ছে না।
পাটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র প্রামাণিকও একই কথা বলছেন, কোভিডের ধাক্কা থেকে এখনো শিল্প সংস্থাগুলো বেরিয়ে আসতে পারেনি। তার সঙ্গে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন ও পণ্য বিক্রিতে যার প্রভাব পড়েছে। তাই অনেক সংস্থাই কর্মীর সংখ্যা কমানোসহ নানাভাবে সংস্থার খরচ কমিয়ে মুনাফা বহাল রাখার কৌশল নিয়েছে। ফলে বেকারত্ব বাড়বেই।