এ ঘটনায় ৪১৭ শ্রমিকের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৩১ মে) কারখানা পরিদর্শন করে স্থানীয় শতাধিক মানুষ। এ সময় তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হযরত আলী হিরা বলেন, এই কারখানা এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। বাড়ি ভাড়া দিয়ে, ব্যবসা করে এলাকার মানুষ নানাভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। একটি মহলের ইন্দনে কারখানায় তাণ্ডব চালানো হয়। বিপুল ক্ষতি হয়েছে কারখানার। দেখে আমরা হতবাক।
কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, কারখানায় সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
শ্রমিক-কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন আগেই দেয়া হয়েছিল। ২৩ মে বোনাস দিয়ে দুপুরের পর কারখানায় ঈদের ছুটি হওয়ার কথা ছিল। শ্রমিকরা সকাল ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে ১০টার মধ্যে বোনাস দিয়ে ছুটির দাবি করেন। ব্যাংক থেকে টাকা উঠাতে দেরি হওয়ায় দুপুরের খাবারের পর বোনাস দেয়ার ঘোষণা দিলে কতিপয় শ্রমিক বিক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
একপর্যায়ে তারা মে মাসের পুরো বেতন দাবি করেন। বেলা ১১টার দিকে তারা কারখানায় ভাঙচুর শুরু করেন। প্রতিটি ফ্লোরের দরজা-জানালা, অফিসের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা ও এসি ভাঙচুর করা হয়। এমনকি বাদ যায়নি টয়লেটের বেসিন-কমোডও। লুট করা হয় ৭০-৮০ হাজার পিস জ্যাকেট ও বিপুল পরিমাণ ফেব্রিকস। যার মূল্য ৪৫-৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটির টাকার বেশি।