তিনি বলেছেন, এই সময়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করবে করোনা। দেখা দেবে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার ধারণা, এই সময়ে ভারতের অর্ধেক জনগোষ্ঠী (৬৫ কোটি) আক্রান্ত হবেন করোনায়।
ভারতে চতুর্থ দফার লকডাউনও শেষ হয়েছে রোববার। দৈনিক নতুন রোগীর সংখ্যাতেও প্রায় প্রত্যেকদিন আগের রেকর্ড ভাঙছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ভারতে ৮ হাজার ৩৮০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন; যা আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে।
ভারতে এখন মৃত্যুর সংখ্যাও প্রায় সোয়া পাঁচ হাজার। যেটা চীনের সরকারিভাবে দেয়া মৃত্যুর সংখ্যার চেয়েও বেশি। বস্তুত চার দফার লকডাউনের একেবারে শেষে এসে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে; যে গতি মন্থর হওয়ার এখনও পর্যন্ত কোনও লক্ষণই নেই।
কর্ণাটক হেলথ টাস্ক ফোর্সের কর্মকর্তা ভি রবি বলেন, দেশ এখনও সংক্রমণের তীব্রতা টের পায়নি। জুনের পর থেকে হু হু করে বাড়বে সংখ্যাটা। শুরু হবে গোষ্ঠী সংক্রমণও। তার দাবি, মধ্য ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিক করোনার কবলে পড়বে।
তবে উপসর্গ না থাকায় ৯০ শতাংশ মানুষ বুঝতেই পারবে না যে তাদের শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ভাইরাস। তবে এক্ষেত্রে মাত্র পাঁচ শতাংশ রোগীকেই হয়তো ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার তুলনামূলক কমই থাকবে বলে আভাস দিয়েছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ভি রবি। তার মতে, এসময় করোনায় মৃত্যুর হার হতে পারে ৩ থেকে ৪ শতাংশ। তবে গুজরাটে এর হার ৬ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা তার।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কর্ণাটক হেলথ টাস্ক ফোর্সের কর্মকর্তা ভি রবি। তিনি বলেন, ইবোলা বা মার্সের মতো ততটা ভয়ংকর নয় করোনা। একে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। তবে সংক্রমণ রুখতে সতর্ক থাকা জরুরি। সচেতনতাই আমাদের রক্ষাকবচ।