সোমবার (১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এটিএম সেবার জন্য আলাদা কোম্পানি গঠনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। আর অনুমোদনের বেশ কিছু শর্ত পরিপালন করতে হবে। প্রথমেই তিন বছরের একটি কর্মপরিকল্পনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগে জমা দিতে হবে। যেখানে প্রতিবছরে অন্তত একশ’ এটিএম বুথ এবং এক হাজার পয়েন্ট অব সেলস (পস) স্থাপনের পরিকল্পনা থাকবে।
এটিএম বুথ স্থাপনের ক্ষেত্রে শহরে একটি বুথের বিপরীতে গ্রামে অন্তত তিনটি বুথ স্থাপন করতে হবে। আর শহর গ্রাম বিভাজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের নীতিমালায় উল্লিখিত বিভাজনকে বিবেচনায় নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকের বিদ্যমান এটিএম বুথ ওই ব্যাংকই পরিচালনা করবে। কোনো ব্যাংক চাইলে নতুন বুথ স্থাপনেও কোনো বাধা নেই। তবে এটিএম সেবায় আগ্রহী কোম্পানিকে নতুন করেই বুথ স্থাপন করতে হবে। বিদ্যমান কোনো ব্যাংকের বুথ এসব কোম্পানি কিনতে পারবে না। কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন, বিল পরিশোধ, টাকা স্থানান্তর, ব্যালেন্স জানা যাবে। পসের মাধ্যমে রিটেইল কেনাকাটা ও দোকানের বিল পরিশোধ করা যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, গ্রামে ব্যাংকিং সেবার পরিধি আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটিএম বুথের সার্ভিস চার্জ হবে বর্তমানের মতোই। তবে বর্তমানে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করলে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ কাটা হয়। যার মধ্যে ৫ টাকা দেয় ব্যাংক। আর গ্রাহককে দিতে হয় ১৫ টাকা। এক্ষেত্রেও সেরকম কিছু হবে। যদিও এ বিষয়ে পরবর্তীতে স্পষ্টীকরণ করা হবে।