বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এ সময় বিএসইসি চেয়ারম্যান ব্যাংক থেকে নেওয়া অন্য সবার ন্যায় শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও ঋণের সুদ স্থগিতের জন্য অনুরোধ করেন। এর আলোকে গভর্নর বলেন, ঋণের সুদ স্থগিতের সুবিধা শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও সার্কুলারের আওতায় ভবিষ্যতে প্রদত্ত সুবিধার ক্ষেত্রেও শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো অন্তভূর্ক্ত থাকবে বলে জানান।
বৈঠকে ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকা তহবিল গঠনের মাধ্যমে বিনিয়োগে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ২০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠনের সুবিধা দেওয়া হলেও মাত্র ২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক আংশিক বিনিয়োগ করেছে। আর ৮টি ব্যাংক এ বিষয়ে পর্ষদের অনুমোদন নিলেও এখনো এগিয়ে আসেনি।
এদিকে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ প্রদানের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও বিএসইসি চেয়ারম্যান বৈঠকে আলোচনা করেন। ঘোষিত লভ্যাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গভর্নরকে অনুরোধ করেন। এ বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর।
আগামিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির সমন্বয় বাড়ানো নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এতে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসইসির পক্ষে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নির্বাহি পরিচালক মোঃ মাসুদ বিশ্বাস প্রতিনিধিত্ব করবেন। কমিটি প্রথম ৩ মাসের প্রতি মাসে এবং পরবর্তীর্তে ২ মাস অন্তর সভায় মিলিত হবে।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কমিশনার খন্দকার কামালুজ্জামান, ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন-ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান, আহমেদ জামাল, নির্বাহি পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, মোঃ মাসুদ বিশ্বাস, আবু ফারাহ মোঃ নাসের ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।