ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী, একিউসিএইচ নামে এ ওষুধের পরীক্ষা বর্তমানে মাঝমাঝি পর্যায়ে রয়েছে। অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সান ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, একিউসিএইচ নামের এই ওষুধটি উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতানো গুল্ম কক্কুলাস হিরসাটাস থেকে নিষ্কাশন করা হয়েছে। এই ভেষজ উদ্ভিদটি এশিয়া ও আফ্রিকায় ওষুধ হিসেবে খুব ব্যবহৃত হয়। হিন্দিতে এটা ‘ফরিদ বুটি’এবং সংস্কৃতে ‘পাতাল গারুদি’ নামে পরিচিত।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতজুড়ে ১২টি চিকিৎসা কেন্দ্রে ২১০ জন রোগীর মধ্যে ওষুধটির পরীক্ষা চালাবে তারা। মানবদেহের জন্য যে এটি সুরক্ষিত অর্থাৎ এর যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তা যাচাইয়ে জন্য পরীক্ষা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানায়, একিউসিএইচ ওষুধটি মূলত ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ল্যাবরেটরিতে এটির ভাইরাস বিরোধী বৈশিষ্ট্যও দেখা গেছে। এ কারণেই কোভিড-১৯ চিকিৎসায় তা ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বজুড়ে যে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে তাতে দুই ভারতীয় কোম্পানি গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং স্ট্রাইডস ফার্মা সায়েন্স লিমিটেডও রয়েছে। তবে সান ফার্মার মতো ভেষজ নিয়ে এর আগে কোনো পরীক্ষা হয়নি।