শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরিতে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। এমনকি, আমরা পরিবহন ও সরবরাহে যেতেও প্রস্তুত। আমাদের ২০ লাখেরও বেশি ডোজ তৈরি আছে।’
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে আমরা খুবই চমৎকার কাজ করছি। আমার মনে হয় আমরা কিছু ইতিবাচক চমক ও প্রতিষেধক পেতে চলেছি। আরোগ্যের ক্ষেত্রে আমরা দারুণ কাজ করছি।’
তবে ট্রাম্পের এ দাবির সপক্ষে সত্যতা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. অ্যান্থনি ফওসির কাছে ২০ লাখ ডোজ প্রস্তুতের বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, তিনি নাকি প্রেসিডেন্টকে এ কথাটি বলতে শোনেননি।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে ২০ লাখ ডোজ কোন প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে সেটি জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে, চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা ডা. ফওসি জানিয়েছিলেন, অন্তত চারটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের শুরুর দিকেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরি যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় নামা প্রায় এক ডজন কোম্পানি বা গ্রুপ থেকে বাছাই করে পাঁচটিকে নির্বাচিত করেছে ওয়াশিংটন। যাদের ভ্যাকসিনে সম্ভাবনাময় ফল পাওয়া গেছে এবং যারা অল্প সময়েই বিপুল পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম, মূলত তাদেরই নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচিতরা ভ্যাকসিন গবেষণায় মার্কিন সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।
নির্বাচিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো- ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক বায়োটেক ফার্ম মডার্না, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মার্কিন মেডিকেল জায়ান্ট জনসন অ্যান্ড জনসন, মার্ক এবং ফাইজার। এরা প্রত্যেকেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে আলাদাভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে মডার্না আগামী মাসেই তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করবে। প্রায় একই পরিমাণে এগিয়েছে অক্সফোর্ড -অ্যাস্ট্রাজেনেকাও।