মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মালদ্বীপে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। দেশটিতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৭ মার্চ। সেদিন দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৭১৭ জন। দেশটির হুলহুমালে অরেঞ্জ হেলথ ফ্যাসিলিটিতে বেশ কিছু বাংলাদেশি চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৯ মে সেখান থেকে ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে ১৮৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১০১৮ জনই বাংলাদেশি। হাইকমিশন তাদের খবরাখবর রাখছে। যাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন তারও ব্যবস্থা করছে।
রাষ্ট্রদূত রিয়ার অ্যাডমিরাল নাজমুল হাসান বলেন, প্রবাসী শ্রমিকরা একটি ঘরে অনেকজন থাকেন, এ কারণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তাদের বেশি। যারা যেখানে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সমস্যায় পড়া বাংলাদেশিদের সহায়তার জন্য মালদ্বীপকে ১০০ টন খাদ্য, ওষুধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সরকার। ত্রাণের মধ্যে ছিল ৪০ টন চাল, ১০ টন আলু, ১০ টন মিষ্টি আলু, ১০ টন মসুর ডাল, পাঁচ টন পেঁয়াজ, পাঁচ টন ডিম এবং পাঁচ টন সবজি। খাদ্য ছাড়াও ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই ও মাস্কও পাঠানো হয়েছে। ওই পণ্য সামগ্রী নিয়ে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ মালদ্বীপে পৌঁছানোর পর ২২ এপ্রিল ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।