তবে চীনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ক্যানবেরা। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
চীনা সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নাগরিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারিকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়ায় চীনা ও এশীয়দের বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্য এবং সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাই সুরক্ষার তাগিদে চীনা পর্যটকদের অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণে না যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন মন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম অবশ্য চীনাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় দুনিয়ার সবচেয়ে সফল বহুসংস্কৃতি ও অভিবাসী সমাজ বিদ্যমান। এই সাফল্যে চীনা অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
২০২০ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ব্যাপারে চীনের স্বচ্ছতা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। এটি খুব উচ্চ পর্যায়ের। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। আমি মনে এটা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জোরালো তদন্ত চায় অস্ট্রেলিয়া।’ তার ওই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চীন। দেশটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে, অস্ট্রেলিয়ার এমন দাবির ফলে অসি পণ্য বর্জন করতে পারে চীনা গ্রাহকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন। ক্যানবেরা-র মোট রফতানি বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি সামগ্রীর ক্রেতা বেইজিং। ফলে শুরুতেই অসি পণ্য বর্জনের হুমকি চীনের ‘অর্থনৈতিক জবরদস্তি’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার নানা পণ্যে বিধিনিষেধের পর এবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে দৃশ্যত সে পথেই হাঁটছে বেইজিং।