এই অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়ন করেছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এলি লিলি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান জুনশি বায়োসায়েন্সেস।
এলি লিলি জানিয়েছে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও প্রথম ধাপের গবেষণা শুরু করবে। বিজ্ঞানীরা প্রথমে জেএস০১৬ নামক এই অ্যান্টিবডি চিকিৎসা মানুষের মধ্যে ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন। পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত হলে তারপর এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখবেন গবেষকরা।
প্রথম ধাপটি সফল হলে কীভাবে এটি সবচেয়ে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তা নির্ধারণে আরও ট্রায়াল চালানো হবে।
এই অ্যান্টিবডি নিজেই ভালো কাজ করে নাকি অন্যান্য অ্যান্টিবডির সঙ্গে মিশ্রণে এটি আরও কার্যকর ভূমিকা রাখে সেটিও যাচাই করে দেখা হবে।
জেএস০১৬ নামক এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে।
লিলি এবং জুনশি-র বিজ্ঞানীরা ল্যাবে সম্ভাব্য অন্যান্য অ্যান্টিবডিও পরীক্ষা করছেন। এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হতে চাইছেন, কোনটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপলিস-ভিত্তিক ওষুধ প্রতিষ্ঠান এলি লিলি থেকে এটি এ জাতীয় দ্বিতীয় অ্যান্টিবডি থেরাপি। এর আগে এলওয়াই-সিওভি৫৫৫ নামের আরেকটি অ্যান্টিবডি চিকিৎসার পরীক্ষা চালিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। কানাডাভিত্তিক বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান অ্যাবসেলেরা-র সঙ্গে ওই অ্যান্টিবডি চিকিৎসা ডেভেলপ করেছিল এলি লিলি।
জুনশি বায়োসায়েন্সেস চীনের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে চীনের বাইরে বিশ্বের অন্যত্র এলি লিলি-র একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে।
রিজেনেরনসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি তৈরির চেষ্টা করছে। এ মাসেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো।
অ্যান্টিবডি হচ্ছে এমন উপাদান যা শরীরে সহজাতভাবেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
কোনও অ্যান্টিবডি থেরাপি তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের হাজার হাজার অ্যান্টিবডি যাচাই করতে হয়। এর মাধ্যমে ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট একটি হুমকি মোকাবিলায় কোন অ্যান্টিবডি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা নির্ধারণ করেন বিজ্ঞানীরা।