শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশ যেসব বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো বহু নাগরিকের জীবনকে ওলটপালট করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর করোনার বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। তবে এর কিছু সামাজিক প্রভাব আরও গুরুতর রূপ নিয়েছে।
ক্ষুদে একটি ভাইরাস ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলেও উল্লেখ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেন, লাখ লাখ মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। আমরা জানি, অনেকে তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায় হারিয়েছেন। এই সময়ে একটা বিনম্র পরিবেশ থাকা উচিত।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস ইস্যুতে বিদ্যমান বৈশ্বিক বিভক্তি আরও প্রকট রূপে ধরা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশ চীনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের মাধ্যমে ভাইরাসটি দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চীনকেন্দ্রিক হিসেবে আখ্যায়িত করে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটিতে মার্কিন তহবিল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে আফ্রিকা মহাদেশে করোনার সংক্রমণ ‘দ্রুত হারে বাড়ছে’ উল্লেখ করে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আগে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বড় বড় শহরগুলোতে প্রবেশ করেছে করোনাভাইরাস। আর তা এখন গ্রাম্য এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।
আফ্রিকা মহাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৯৮ দিন। অথচ সে সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দুই লাখে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে মাত্র ১৮ দিন। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১১ জুন) এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অংশ নেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা প্রধান মাৎশিদিসো মোয়েতি। তিনি বলেন, আফ্রিকার ৫৪ দেশের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। একে ‘গুরুতর চিহ্ন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আফ্রিকায় সংক্রমণের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদিও এ সংখ্যাটা বিশ্বের মোট আক্রান্তের সংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম, তারপরও এটা স্পষ্ট যে এখানে মহামারি দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে।’