লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ আগস্ট। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জুলাই।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৩ টাকা ৩৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭৭ পয়সা।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোন সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ার দাম যতখুশি বাড়তে পারবে।
তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি- মার্চ প্রান্তিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭০ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি মুনাফা বেড়েছে ৭২ পয়সা।
মুনাফা বাড়লেও কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য আগের বছরের তুলনায় কমেছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা ২০১৯ সাল মার্চ শেষে ছিল ২৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা, যা ২০১৮ সালের সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৬ টাকা ৮৩ পয়সা।