প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ২১ হাজার ৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬১ জন।
করোনায় মৃতদের মধ্যে অর্ধসহস্রাধিক ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীও রয়েছেন।
২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তখনও কেউ পরিস্থিতির এতোটা অবনতি হবে বলে মনে করেনি।
আগে থেকেই অবশ্য ১ জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে তা প্রথম ধাপের চেয়েও মারাত্মক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) এই পরিচালক বলেন, নতুন করে প্রাদুর্ভাব হলে তার সঙ্গে যুক্ত হবে মৌসুমি ফ্লু। সেক্ষেত্রে এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অকল্পনীয় চাপ তৈরি করবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।