চিঠিতে তারা বলেছে, মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের এরকম আচরণে বিএমএ ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এত বহুলাংশে আক্রান্ত ও মৃত্যু আজ পর্যন্ত কোনও দেশে ঘটেনি বলেও দাবি করেছে চিকিৎসকদের সংগঠনটি।
শনিবার (২০ জুন) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বরাবর ‘অতীব জরুরি’ উল্লেখ করে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটি কোভিড-১৯ আক্রান্ত চিকিৎসকদের চিকিৎসার জন্য মানসম্পন্ন হাসপাতাল নির্ধারণের দাবি জানায়।
সংগঠনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দন ও মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য কোনও হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসকদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় পরবর্তীতে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর দায়ী থাকবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিগত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তাদের রোগীদের সেবায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগণ নিরন্তর ও নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মানহীন পিপিই, মাস্ক, জোড়াতালি দিয়ে অবৈজ্ঞানিকভাবে দ্রুত তৈরি করা কোভিড-আইসিইউ, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ. রোগীদের খামখেয়ালিপনা, স্বল্প পরিসরে কোভিড-নন কোভিড চিকিৎসার কারণে কোভিড রোগ ছড়িয়েছে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বল্পতা, থাকা-খাওয়ার অব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয়ে অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের নির্লিপ্ততা, উদাসীনতা, অদূরদর্শীতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ১০০ জন চিকিৎসকসহ মোট তিন হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, ৪৪ জন চিকিৎসক এবং নার্সসহ আট জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিয়র চিকিৎসক ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞ এদের মধ্যে অন্যতম।
চিঠিতে মন্ত্রীকে সম্বোধন করে বলা হয়, ‘এমন জাতীয় ক্ষতির জন্য অনেকাংশে আপনার মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর দায় এড়াতে পারে না। মন্ত্রালয় ও অধিদফতরের এহেন আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।’ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এত বহুলাংশে আক্রান্ত ও মৃত্যু কোনও কোভিড আক্রান্ত দেশেও ঘটেনি বলে চিঠিতে দাবি করা হয়।