বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে ইতিমধ্যে আবেদন করেছে মালিন্দো এয়ারওয়েজ, এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই ও তুরস্কের টার্কিশ এয়ারলাইন্স। তবে ঘোষণা না হলেও ১ জুলাই থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক। বাকি তিন এয়ারলাইন্সের আবেদনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
সার্বিক বিষয় ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বেবিচক, এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার মালিন্দো এয়ার চিঠিতে ১ জুলাই থেকে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ইচ্ছে পোষণ করেছে। মালিন্দো এয়ার কুয়ালালামপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ট্রানজিট যাত্রী বহন করে আসছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক উড়োজাহাজ সংস্থা এয়ার এ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই এবং টার্কিশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালু করতে বেবিচকে চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনেকটা ফাইনাল। এই উড়োজাহাজ সংস্থাটি ১ জুলাই থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাবে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স তুরস্কের ইস্তানবুল হয়ে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের বহু দেশে বাংলাদেশি ট্রানজিট যাত্রী বহন করে থাকে।
এ প্রসেঙ্গ বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে চার এয়ারলাইন্সের চিঠি পেয়েছি। তাদের আবেদন বিবেচনা করছি। ওই সব দেশের ট্রাভেল রেস্ট্রিকশনসহ সার্বিক বিষয়ে রিভিউ করে ফ্লাইট চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২১ মার্চ থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেবিচক। দীর্ঘ ৬৯ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। আর ১৬ জুন ঢাকা থেকে লন্ডন রুটে এবং কাতার রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক। সর্বশেষ ২১ জুন থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট চলাচল করার অনুমতি দেয় সংস্থাটি।