মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে গত ১৪ আগস্ট চার দিনের সফরে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ আমাদের ৭৬টি গুমের তালিকা দিয়েছে। এ ৭৬ জন যে ২০-২৫ বছর ধরে নিখোঁজ আছে তার মধ্যে ১০ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুঁজে পেয়েছে। ১০ জনের তালিকা আমরা জেনেভায় জমা দিয়েছি। তারা ১০ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবে। বাকি থাকে ৬৬ জন। এদের মধ্যে ২৮ জন ছিলেন দাগী আসামি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সাধারণত দাগী আসামিরা লুকিয়ে থাকে। এটা নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। আমরা কাজ করছি। আমরা কমিটেড। হিউমেন রাইটস কমিশনের কাছে আমরা যে কমিট করেছি, যতটা সম্ভব খুঁজে বের করা হবে। সবাইকে বের করা সম্ভব হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গুম হওয়া যে ৭৬ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছে তার ব্যাপ্তিকাল বিবেচনায় ২০ -২৫ বছর আগে গুম হওয়া ব্যক্তিরও নাম রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সে সময় বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ছিল না। সেই সময়ের নামও রয়েছে। সেখানে কল্পনা চাকমার নাম রয়েছে। সেটার দায়বদ্ধতা বা আমাদের জবাবদিহিতার কথা বলা হচ্ছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, একটি ছাত্রী ৪৫ দিন ধরে নিখোঁজ। তার মা আপনাদের (গণমাধ্যম) ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেছে, আমার মেয়ে হারিয়ে গেছে। পরে দেখা গেল, সেই মেয়েটি তার পছন্দের একজনকে বিয়ে করে চলে গেছে। একটা সমাজে অনেক এলিমেন্টস থাকে। পৃথিবীর বহু দেশে, আমাদের সমাজেও আছে দীর্ঘদিন বা দুই তিন বছর বাইরে থেকে বাড়ি ফিরেছে।
ঢাকা সফরের সময় হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য কোনো বিশেষ সংস্থা গঠনের দাবি জানাননি বরং তিনি একটি মেকানিজমের কথা বলেছেন বলেও দাবি করেছেন শাহরিয়ার আলম।