জানা গেছে, এর আগে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশি কর্মীরা নিজ দেশে টাকা পাঠাবে তার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে এ সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলার বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশে যেসব বিদেশি কর্মী কাজ করেন তাদের উপার্জিত টাকাগুলো এই দেশের এফসি অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের দেশের এফসি অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে। তবে এক মাসে মোট উপার্জনের ৭৫ শতাংশের বেশি অর্থ পাঠাতে পারবেন না কেউ।'
'বাংলাদেশের এডি শাখাগুলো (যেখানে বৈদেশিক লেনেদেন সম্পন্ন হয়) তাদের এফসি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ডেবিট অথবা প্রিপেইড কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এই ডেবিট কার্ডের টাকা দিয়ে ভ্রমণ সম্পর্কিত ব্যয় করতে পারবেন বিদেশিরা। তাদের অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ও টিকিট কেনার জন্য খরচ করা টাকাগুলো বাংলাদেশের রেমিট্যান্স হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং যে টাকা তারা নিজ দেশে পাঠাবে সেগুলো আউট ওয়ার্ড রেমিট্যান্স হিসেবে বিবেচিত হবে',- বলা হয় সার্কুলারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশে বিদেশি কোম্পানির শাখা, লিয়াজোঁ অফিস, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) বা হাইটেক পার্কে অবস্থিত কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা মোট বেতনের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ অন্য দেশে পাঠাতে পারেন। আর বেতনের অন্তত ২৫ শতাংশ বাংলাদেশে খরচ করতে হয়। তবে বর্তমানে কোম্পানিগুলো বিদেশি কর্মীর বেতনের পুরো অর্থ তার নামে খোলা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে দেয়। এতে করে অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি বাইরে পাঠালে বা খরচ করলে তদারকি করা ব্যাংকগুলোর জন্য জটিল হয়ে পড়ে। এরকম প্রেক্ষাপটে নতুন এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।