টেক্সাসে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা বৃদ্ধির পর অর্থনীতি পুনরায় সচল করার উদ্যোগ বন্ধ করার পর একথা জানালো সিডিসি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৭০ জনের। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি পুনরায় সচল করতে আগ্রহী অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকা টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট আবারও বিধিনিষেধ জারি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
অ্যালাব্যামা, অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, আইডাহো, মিসিসিপি, মিজৌরি, নেভাডা, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলিনা ও ওয়োমিংয়ে এই সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক দৈনিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। বুধবার ৩৬ হাজারের বেশি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন আশঙ্কা করছে, অক্টোবরের দিকে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু ৯৫ শতাংশ আমেরিকান যদি মাস্ক পরেন তাহলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১ লাখ ৪৬ হাজার।
সিডিসি পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড সাংবাদিকদের বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে ভালো অনুমান হলো একজন শনাক্তের বিপরীতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি। কারণ শুধু উপসর্গ আছে এমন মানুষদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। উপসর্গহীন মানুষদের পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে পদ্ধতিতে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে পরীক্ষা করেছি, তাতে সম্ভবত মাত্র ১০ শতাংশ রোগীকে শনাক্ত করা গেছে।
রেডফিল্ডের অনুমান, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ৫- ৮ শতাংশের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মার্কিন নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বনে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মেনে চলতে, মাস্ক পরতে ও নিয়মিত হাত ধোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন ভাইরোলজিস্ট বলেন, আমরা যখন শরৎ ও গ্রীষ্মের দিকে যাচ্ছি তখন এগুলো সত্যিকার অর্থে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।