শনিবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ কমিটির সঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের দেখা করতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুন) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা অ্যান্টিবডি কিটের সেনসিটিভিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে হওয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেয়নি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। তবে পরবর্তীতে এই কিটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেয় ওষুধ প্রশাসন।
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আমরা চার থেকে পাঁচ জন ডাক্তার শনিবার সাড়ে ১১টার দিকে কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ে গঠিত বিএসএমএমইউ কমিটির সঙ্গে দেখা করতে যাবো। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কিটের মান উন্নয়নে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএমএমইউ প্রতিবেদনে অ্যান্টিবডি কিটটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে তার সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন তা গ্রহণ করেনি, এটা দুঃখজনক। তবে তারা বলছে, কিটের মান উন্নয়নে সহযোগিতা করবে। এখন বিএসএমএমইউ সঙ্গে আলোচনা করে দেখবো কোন জায়গায় কিটের মান উন্নয়ন করা যায়।’
তিনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে কোনও কিছুই এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রায় প্রতিদিনই তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ওই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন জমা দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে।
ওই দিন বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণের গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়। উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে কিট ব্যবহার করে শুধুমাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব। তবে এই কিট করোনার ব্যপ্তি দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এই কিটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ রোগী যাদের ইতোপূর্বে কোভিড রোগ হয়েছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব। কোভিড প্লাজমা বিতরণ, কোয়ারেন্টিন সমাপ্তির সময় নির্ধারণ এবং লকডাউন উত্তোলনের রূপরেখা তৈরিতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।’