আপাতত নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত ১৫টি দেশের নাগরিকরা ইইউ জোটভূক্ত দেশগুলোয় বুধবার থেকে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে এ তালিকায় শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় নেই ভারত কিংবা ব্রাজিলের মতো দেশও। চীনের পর মহামারির কেন্দ্র হয়ে উঠলে জোটের বাইরের এমনকি ইইউভূক্ত দেশগুলোর জন্য এই সীমান্ত বন্ধ ছিল।
ইইউ’র ২৭ সদস্য রাষ্ট্র একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আগে কোনো কূটনীতিককে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে বুধবার মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর সরকার ১৫টি দেশকে নিজেদের সীমান্তে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে বলে তারা সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন।
গতদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ৫৪টি দেশের নাম ছিল। এখন ওই তালিকায় ১৫টি দেশের নাম দেখা যাচ্ছে। প্রস্তাবিত তালিকায় চীনের নাম থাকলেও কেবল পারস্পরিক পারস্পারিক ভ্রমণ চুক্তির শর্তে চীনকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ কর্তৃপক্ষ।
বাকি যে ১৪টি দেশ কোনো শর্ত ছাড়া ইইউ জোটভূক্ত দেশগুলো ভ্রমণের অনুমতি পাচ্ছে সেই দেশগুলো হলো আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া এবং উরুগুয়ে। যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশিতভাবেই তালিকায় ঠাঁই পায়নি।
চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এর বাইরে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রকোপ মারাত্মক আকারে শুরু হলে ইউরোপীয়ান দেশগুলোর জোট ইইউ নিজেদের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল। তবে সম্প্রতি সংক্রমণ কমায় ইইউ ও শেনজেনভুক্ত দেশগুলো ১৫ জুন থেকে ইইউ নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়।