অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমে ওয়ালটন এসি ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে আরেকটি এসি ফ্রি অথবা নিশ্চিত মূল্যছাড় দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য ক্রেতা এসব সুবিধা পেয়েছেন।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মাহফুজুর রহমান জানান, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে এয়ার কন্ডিশনার কিনে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন ক্রেতা। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সিলেক্ট করে ফিরতি এসএমএস-এ ক্রেতাকে আরেকটি এসি কিংবা ক্যাশব্যাকের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হবে।
কর্তপক্ষ জানায়, দেশে নিজস্ব কারখানায় উচ্চমান বজায় রেখে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়নে ওয়ালটনের রয়েছে দক্ষ ও মেধাবী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। যারা প্রতিনিয়ত এসির ডিজাইন এবং মান নিয়ে গবেষণা করছেন। ফলে ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এসিতে সংযুক্ত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি। বুয়েট পরীক্ষায় দেখা গেছে ওয়ালটন এসিতে বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম। ঘন্টায় মাত্র ৩.৭৪ টাকা। এর অর্থ ওয়ালটন ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
জানা গেছে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উচ্চমান, কম বিদ্যুৎ খরচ, সাশ্রয়ী দাম, সহজ কিস্তি সুবিধা, ফ্রি ইন্সটলেশন, সহজলভ্য ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের কারণে সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি।
ওয়ালটন এসি সেলস নেটওয়ার্ক ও ডেভেলপমেন্টের সমন্বয়ক খোন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ জানান, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য তাদের রয়েছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর-৪১০এ এবং আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড, ডুয়েল ডিফেন্ডার এবং আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
জানা গেছে, ১, ১.৫ এবং ২ টনের স্পিট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার এসি।
এদিকে, যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটনের নতুন এসি। এছাড়া, মাত্র ৪,৯০০ টাকা ডাউনপেমেন্টে এসি দিচ্ছে ওয়ালটন। রয়েছে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই সুবিধা। তবে এক্সচেঞ্জ এবং কিস্তি সুবিধায় এসি কিনলে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সুবিধা মিলবে না।
পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটনের নিজস্ব অনলাইন শপ ‘ইপ্লাজা ডট ওয়ালটনবিডি ডটকম থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দের এসি কিনতে পারছেন। অনলাইন থেকে এসি কেনায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সুবিধা উপভোগ করা যাবে। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটনের দক্ষ টেকনিশিয়ানগণ বিনামূল্যে গ্রাহকদের এসি ইন্সটলেশন করে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছরের গ্যারান্টি। আর নন-ইনভার্টার কম্প্রেসরের গ্যারান্টি ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করেছে ওয়ালটন।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন। বিজ্ঞপ্তি।