বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতার ৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালে দেশের জুয়েলারি শিল্পের জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়, যা স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮ নামে অবহিত। এ জন্য জুয়েলারি ইতিহাসে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুনে স্বর্ণ মেলার আয়োজন করা হয়, যা সাধারণ জুয়েলার্সদের রক্ষাকবচ বলে বিবেচিত।
স্বর্ণ নীতিমালায় দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য স্বর্ণ আমদানির জন্য গোল্ড ডিলার নিয়োগের বিধান রাখা হয়। বিধি মতে, গোল্ড ডিলার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের মার্চে সার্কুলার দেয়। এ সার্কুলারে আনুমানিক ৫০ প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক আবেদন করলেও সব শর্ত পূরণ না হওয়ায় মাত্র একটি ব্যাংক ও ১৮ প্রতিষ্ঠানকে নবায়নযোগ্য দুই বছর মেয়াদি লাইসেন্স দেয়া হয়।
কিন্তু বিদ্যমান শুল্ক জটিলতার কারণে লাইসেন্স পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেও কোনো প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানিতে আগ্রহ দেখায়নি। সর্বশেষ (২০২০-২১) মেয়াদের বাজেটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে আমদানি পর্যায়ে স্বর্ণে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। ফলে চলতি বছরের ১০ জুন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড তাদের গোল্ড ডিলারশিপের অনুকূলে ১১ হাজার গ্রাম পাকা স্বর্ণ আমদানির জন্য আবেদন করে। আবেদনটি যাচাই বাচাইপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি প্রদান করলে দেশের ইতিহাসে পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণ নীতিমালার বিধান অনুসরণ করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মঙ্গলবার (৩০ জুন) স্বর্ণ আমদানি করে। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান স্বর্ণের চালানটি নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফলে দেশের ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায়ের শুভ সূচনা হলো। আমদানি পর্যায়ে স্বর্ণে ভ্যাট প্রত্যাহার হওয়ায় দেশেরে বাজারে স্বর্ণের দাম এখন কমতে পারে বলে মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএম ৪ এর মাধ্যমে রাফ বা অমসৃণ ডায়মন্ড আমদানি করে কাটিং ও পলিশিং করে পলিশড ডায়মন্ড বিদেশে রফতানি করে।
এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান সব সময়ে চেষ্টা করি সেরাটি উপহার দিতে। প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়ার জন্য নয়। আমি এ অজর্নের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতিসহ (বাজুস) সংশ্লিষ্টদের। ফলে দেশে জুয়েলারি ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায় যুক্ত হলো। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি জুয়েলারি শিল্পে আমাদের যে ঐতিহ্য ও সক্ষমতা রয়েছে তাতে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে নেতৃত্ব দিতে পারব, যদি আমার মতো সবাই এগিয়ে আসেন।