মঙ্গলাবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওই কারখানার নিরাপত্তা কর্মী আরিফুল ইসলাম (২৬), লাইন লিডার আমিনুল ইসলাম (২৫), কালেক্টর সাদেকুল ইসলাম (৩০), সিরাজুল ইসলাম (৩০), ভাগ্য চন্দ্র রায় (২৫), শ্রমিক শরিফুল ইসলাম (২৬), লেবু মিয়া (২৭) ও শাহিন (২৩)।
বুধবার (১ জুলাই) বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদ উন নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে লুট করা তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৩০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি কম্পিউটার মনিটর, একটি স্ক্যানার, কি-বোর্ড ও একটি সিসি ক্যামেরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন সকালে ওই কারখানায় ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে শ্রমিকরা। বিক্ষোভের সময় ওই কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। পরদিন রাতে (২৮ জুন) ওই কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর এ অভিযান চালিয়ে আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্ষতির পরিমাণ দাবি করেছে ১৫ কোটি টাকা।
অভিযোগে বলা হয়, শ্রমিক অসন্তোষের ধুয়া তুলে হেলমেট পরিহিত একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হাতে কাটিং প্লাস, রেঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, হাতুড়ি, লোহার রড ও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রথমে কারখানার নিরাপত্তা কক্ষ তছনছ করে। এরপর সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও উল্টে দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। আগুনে পুড়ে যায় দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
এছাড়া ৩০ থেকে ৩৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, ৫টি ফর্ক লিস্টার, ৪৫০ টি সিসি ক্যামেরা, ৩২০টি কম্পিউটার, ৩২০টি হার্ডডিক্সসহ অসংখ্য আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং উৎপাদিত পণ্যের ক্ষতিসাধন ও লুটপাট করে তারা। একইসঙ্গে কোম্পানির দুটি লকার ভেঙে ৯৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৯১ টাকা লুট করে নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে কারখানার নিরাপত্তা কর্মী আরিফুল ইসলামের কাছ থাকা লুটের তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৩০ টাকা, শ্রমিক শরিফুলের কাছ থাকা একটি মোটরসাইকেল এবং শ্রমিক শাহিনের কাছ থাকা একটি কম্পিউটার মনিটর, একটি কিবোর্ড, একটি স্ক্যানার, একটি সিসি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
নীলফামারী সদর থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’