বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটায় করোনা সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৭টি। আগের নমুনাসহ ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৬২টি। এখন পর্যন্ত আট লাখ দুই হাজার ৬৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ১৯ জন।
পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং ছয় জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে দুই জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ জন, খুলনা বিভাগে পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে দুই জন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন পাঁচ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৯৬০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৭৫৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৭৫ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৫ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশন করা হয় ২৮ হাজার ৫০২ জনকে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৮৯৪ জনকে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৬৯ হাজার ১৮৯ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ১৬৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন তিন লাখ পাঁচ হাজার ১৮১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৬০৮ জন।