২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলেন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য দেয়া বাজেট প্রস্তাবনায় করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে করমুক্ত আয়সীমা, করহার এবং কর ধাপ অপরিবর্তিত আছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে করদাতার প্রকৃত আয় হ্রাস পাওয়ায় এবং অন্যদিকে করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকায় প্রকৃতপক্ষে করদাতারা কর প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না।’
‘এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আমি কোম্পানি ও স্থায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতা বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি এবং করহার হ্রাসের প্রস্তাব করছি।’
বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির কারদাতার জন্য ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ওপর করহার শূন্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ, এর পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং তার বেশি টাকা আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেটেও আয়করের হার এটাই রাখা হয়েছে।
এছাড়া মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমাও সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা।
পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজনই এই সুবিধা পাবেন।