শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ভারতে চীনের বাণিজ্যিক অধিকার বজায় রাখতে বেইজিং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেদিন বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্ত পরিদর্শন করছেন, সেদিনই এই সতর্কতা জানালো চীন।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন (সোমবার) উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত ও অপর ৭৬ জন আহত হয়। ভারত দাবি করে আসছে, চীনের অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে। তবে চীন সরকারিভাবে কোনও হতাহতের খবর জানায়নি। দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকসহ চীনের তৈরি ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। আর চীন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দিল্লির এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার লঙ্ঘন।
এই মাসের শুরুতে ভারতের রেডিও শো ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘লাদাখে যারা ভারতীয় সীমান্তের দিকে চোখ তুলে তাকাবে তাদের যথাযোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’ শুক্রবার তিনি গত ১৫ জুন লাদাখের সংঘাতস্থল পরিদর্শনে যান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় লাদাখের নিমো সেনাঘাঁটি পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি কাছের একটি হাসপাতালে সেদিনের সংঘাতে আহত সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে এবং প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত লাদাখ পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মাসের ওই সংঘাতের পর ভারত ও চীন একাধিকবার সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে উত্তেজনা নিরসনের আলোচনায় অংশ নিলেও অগ্রগতি হয়েছে খুবই সামান্য।