এ সময় এমডি বলেন, চাকরিজীবীদের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই অফিসে কাটে ফলে অফিসে সহকর্মীদের সাথে তাদের একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। করোনায় আক্রান্তরা দীর্ঘদিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে এই জন্য তাদের মানসিক শৈথিল্য ঘটেছে। এখন তারা যদি তাদের সহকর্মীদের দেখতে পায় তাহলে তাদের মানসিক প্রশান্তি ঘটবে, আর এই উদ্দেশ্যেই এই সমাবেশ।
আলোচনায় অন্য বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র করোনা জয়ীদের মানসিক প্রশান্তির জন্যই এই আয়োজন। এ সমাবেশের ফলে করোনা জয়ী কর্মীরা একই সাথে ব্যাংকের সকল ডিএমডি, জিএম এবং অনেক সহকর্মীদের এক সাথে দেখতে পেয়েছে, ফলে তারা এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি লাভ করেছে। আক্রান্ত কর্মীদের চিকিৎসাসহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে বলেও সমাবেশে ব্যাংকের পক্ষে ঘোষনা করা হয়। আক্রান্ত কর্মীরা সবসময় তাদের পাশে থাকার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং একই সাথে ব্যাংকের এমডি, ডিএমডি ও জিএমবৃন্দকে পাওয়াটা বিরল সৌভাগ্যের বিষয় বলে অভিহিত করেন।
সভায় করোনামুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রক্তের গ্রুপ ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করে একটি প্লাজমা ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ব্যাংকের করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের রোগ মুক্তি এবং এ মহামারী থেকে বিশ্ববাসীকে হেফাজত করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ডিএমডি খন্দকার আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় ডিএমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অরুণ কান্তি পাল, জিএম প্রশাসন মো. শফিকুল ইসলামসহ সকল জিএম এবং করোনা জয়ী রূপালী ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।