মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মেডিকেল প্র্যাক্টিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবটরেটরি রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ওই হাসপাতালের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই গত মার্চে রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেছিল সরকার।
কিন্তু কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার জাল সনদ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগ পেয়ে সোমবার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব।
সেখানে অনুমোদনহীন টেস্ট কিট ও বেশ কিছু ভুয়া রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই হাসপাতাল ও রিজেন্টের কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী হাকিম সারোয়ার আলম বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল যে পরিমাণ পরীক্ষা করিয়েছে, তার প্রায় ৩ গুণ বেশি নমুনা সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা না করেই ইচ্ছামতো প্রতিবেদন দিয়েছে। এভাবে তারা ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
“অবস্থাদৃষ্টে চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে তারা ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে, যা বড় ধরনের অপরাধ, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।”
তবে রিজেন্ট হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার মো. সাহেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, র্যাব যেসব অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তার ‘কিছুই তারা পায়নি’।
সোমবার রিজেন্টের দুই হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ আরও অনিয়ম তারা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।"