ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার সফরকালীন আবাসস্থলের মিটিং রুমে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। সেই বৈঠকেই রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেন তিনি।
বৈঠক শেষে ভারতীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানান, তারা আমাদের বলেছে যে, ভারত সেখানে (রাখাইন রাজ্য) সৃষ্ট অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার ইস্যুতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যাহত হবে কি না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই সেই আশঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে সাক্ষাতের একটি ছবি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জয়শঙ্কর লিখেছেন, বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।
‘আমাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের উষ্ণ ও নিবিড় যোগাযোগই দুদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীসুলভ অংশীদারত্বের সম্পর্কের নজির’--লিখেছেন জয়শঙ্কর।
চারদিনের সরকারি সফরে দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘হায়দরাবাদ হাউস’-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও একান্ত আলোচনার কথা রয়েছে।
সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।