কেন্দ্রীয় ব্য়াংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে কোন ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক একক ও সমন্বিত উভয় ভিত্তিতে শেয়ার ধারণের উর্ধ্বসীমা (এক্সপোজার লিমিট) নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট শেয়ার, কর্পোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যকে ‘বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনা করে ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-৩০/২০২২ জারি করায় অনেক ব্যাংকের ক্ষেত্রেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া, ডিওএস সার্কুলার নং০১/২০২০ এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত ব্যাংক প্রতি ২০০ কোটি টাকার বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন পৃথক তহবিল গঠন করা হয়েছে যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবিষ্যতেও এ ধরণের নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের বন্ড মার্কেট উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় তালিকাভুক্ত বন্ডে (সিকিউরড বাই ব্যাংক গ্যারান্টি) বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়া, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২৬ক-এর আওতায় থেকেই ব্যাংকসমূহের পুঁজিবাজারে, বিশেষ করে বন্ড মার্কেটে আরও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
দেশের আর্থিক খাতের সার্বিক স্বার্থে একটি ভাইব্র্যান্ট ও শক্তিশালী বন্ড মার্কেট উন্নয়নসহ বিএসইসির বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।