এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের পুঁজিবাজারের সূচক প্রায় স্থবির হয়ে আছে। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। সূচকের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমছে। তবে গত এক বছরে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসইর) বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালে ডিএসইতে ২৪৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষ কার্যদিবস (২৮ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। গত বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ কার্যদিবস (২৯ ডিসেম্বর,২০২২) পর্যন্ত ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৯ হাজার ৯১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী বছরের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। গত বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ কার্যদিবস ‘ডিএসইএক্স’ ছিল ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৮১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ‘ডিএসইএক্স’ ৩৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়েছে।
২০২৩ বছরের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে। গত বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের শেষ কার্যদিবস ডিএসই শরিয়াহ সূচক ছিল ১ হাজার ৩৫৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে সূচকটি ৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের শেষ কার্যদিবস ডিএসই-৩০ সূচক ছিল ২ হাজার ১৯৫ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। বছরের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১০১ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট।
এসএম