ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আনুষ্ঠনিক নোটিফিকেশন পাওয়ার পর জাতিসংঘের তরফ থেকে মঙ্গলবার এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জাতিসংঘের এই সংস্থা ‘চীনের পুতুলের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্নের ওই ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দিয়েছিলেন মাসখানেক আগে।
নিয়ম অনুযায়ী, তা কার্যকর করার আগে এক বছরের নোটিস দিতে হয় এবং জেনিভাভিত্তিক এই বিশ্ব সংস্থাকে যে চাঁদা দেশটির দেওয়ার কথা তা এই সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব দেশের টাকায় চলে, তার মধ্যে এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদার পরিমাণই এতদিন ছিল সবচেয়ে বেশি।
কেবল ২০১৯ সালেই যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তহবিলের পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ডলারের বেশি, যা ডব্লিউএইচও-র মোট বাজেটের ১৫ শতাংশের মত।
ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সেই চাঁদা বাবদে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনও ২০ কোটি ডলারের বেশি পাওয়া রয়েছে জাতিসংঘের এ সংস্থার।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চীনের সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে যুক্তরাষ্ট্র এখন ডব্লিউএইচওর সঙ্গে ৭০ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি ট্রাম্প বলেছিলেন, চীনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সংস্থাটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তথ্য ‘গোপন করেছিল’।
ডব্লিউএইচওকে ‘চীন ঘেঁষা’ আখ্যায়িত করে এই বিশ্ব সংস্থাকে জবাবদিহিতায় আনারও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি
ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা পরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গেই তারা কাজ করেন। পক্ষপাতের সুযোগ তাদের নেই।
আর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস বলেছিলেন, এখন ডব্লিউএইচও-র তহবিল বন্ধের সময় নয়। এই সঙ্কট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীতে সংক্রমণ আর মৃত্যু দুদিক দিয়েই সবার চেয়ে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ২৯ লাখের বেশি মানুষের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার। বিশ্বে ১ কোটি ১৭ লাখ শনাক্ত রোগীর এক চতুর্থাংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
সুত্র: রয়টার্স